খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তা নিয়োগ কেসিসির

আশরাফুল ইসলাম নূর |
০১:১৯ এ.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৪


খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে (নাগরিক সেবা কার্যক্রম নাগরিক সনদ, ওয়ারেশ কায়েম সনদ, চারিত্রিক সনদ, অবিবাহিত সনদ, প্রত্যয়নপত্র ও পারিবারিক সনদসহ অন্যান্য সনদ) নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখতে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 
গতকাল বুধবার কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী লস্কার তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকে সাধারণ প্রশাসনিক শাখার পৃথক দু’টি দাপ্তরিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। স্মারক দু’টি হচ্ছে ৪৬,১৩০০০০.০০৯.৩৩.০২১.২৪.১১৯০, তাং-০২/১০/২০২৪ এবং ৪৬,১৩০০০০.০০৯.৩৩.০২১.২৪.১১৭৮, তাং-০২/১০/২০২৪।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে খুলনাসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করে সরকার। এর আগে ১৯ আগস্ট অপসারণ করা হয়েছিল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের। এতে নাগরিক সেবা বিঘিœত হওয়ায় মেয়র পদে প্রশাসক এবং কাউন্সিলরদের স্থলে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা অর্পিত ওয়ার্ড সমূহের বিন্যাসে দেখা গেছে, ১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সালেহ পাটওয়ারী, ২নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আজিজুন নাহার বেলা, ৩নং ওয়ার্ডে কঞ্জারভেন্সি কর্মকর্তা মোঃ অহিদুজ্জামান খান, ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মাসুদ করিম, ৫নং ওয়ার্ডে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্র্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, ৬নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডে বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, ৮নং ওয়ার্ডে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, ৯নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এফ এম ফয়সাল, ১০নং ওয়ার্ডে সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ডে ড্রাফটম্যান আসমাউল হুসনা, ১২নং ওয়ার্ডে কনঞ্জারভেন্সি সুপারভাইজিং ইন্সেপেক্টর মোঃ জিয়াউর রহমান, ১৩নং ওয়ার্ডে এস্টিমেটর কাজল রানী দাস, ১৪নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, ১৫নং ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মাজেদ মোল­া, ১৬নং ওয়ার্ডে চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, ১৭নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ শাম্মীউল ইসলাম, ১৮নং ওয়ার্ডে স্থপতি রেজবিনা খানম, ১৯নং ওয়ার্ডে আইটি ম্যানেজার শেখ হাসান হাসিবুল হক, ২০নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সেলিমুল আজাদ, ২১নং ওয়ার্ডে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অডিট) মুহম্মদ ইমরান হোসেন, ২২নং ওয়ার্ডে কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দী, ২৩নং ওয়ার্ডে ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, ২৪নং ওয়ার্ডে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান, ২৫নং ওয়ার্ডে রাজস্ব কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, ২৬নং ওয়ার্ডে সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার আব্দুর রকীব, ২৭নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিত কান্তি ঘোষ, ২৮নং ওয়ার্ডে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (হিসাব) এস এম এ ওয়াদুদ, ২৯নং ওয়ার্ডে চীফ এ্যাসেসর শেখ হাফিজুর রহমান, ৩০নং ওয়ার্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল­া মারুফ রশীদ এবং ৩১নং ওয়ার্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) রনি জামিল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এসব সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে কেবল রংপুরে জাতীয় পার্টি ব্যতীত বাকি ১১টিতেই মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন আ’লীগ নেতারা। মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রায় সবাই আত্মগোপনে অথবা মামলার আসামি হয়েছেন। তারা কার্যালয়েও আসছিলেন না। যে ভোটে এই জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন, সেগুলোতে সে সময়ের বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেয়নি বা নিলেও ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল।

্রিন্ট

আরও সংবদ